মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় খোলামেলা ভাবে বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক পানিয়। বিশেষ করে পৌরবাস টার্মিনালের মহাসড়ক সংলগ্ন কুলিং কর্নার ও পানের দোকান গুলোতে এসব পণ্য বিক্রিতে প্রতিযোগিতায় নামছে।
সরজমিনে ওই এলাকার ওসমান সওদাগরের কুলিং কর্নারের ফ্রিজের উপর, সামনের টেবিল ও সেলফে শতাধিক যৌন উত্তেজক সিরাপ লক্ষ্য করা গেছে। একই ভাবে বিপুল সংখ্যক এসব পানিয় বোতল দিয়ে দোকান সাজানো হয়েছে তার পার্শ্ববর্তী মালেক, তানজিদ হোসেন ও রুহুল আমিন সওদাগর নামক কোর্লিং কর্ণারে। এতে কিছুসংখ্যক তরুন-যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন ঝুঁকছে এসব সিরাপের দিকে। আর সিরাপগুলো পানের কু-প্রভাবে চকরিয়া সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে যৌনাচার, ব্যভিচার, ধর্ষন, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি স্বামী-স্ত্রী ও অভিভাবক-সন্তানের মধ্যে আস্থার সংকট ও অবিশ্বাস সৃষ্টিসহ সামাজিক বন্ধন শিথিল হয়ে যাচ্ছে বলে সমাজকর্মীরা আশংকা প্রকাশ করেছে।
সাম্প্রতিককালে দেশীয় ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আশা বিভিন্ন অসাধু কম্পানীর সরবারহকৃত এসব যৌন উত্তেজক সিরাপে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে।

বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, এসব যৌন উত্তেজক সিরাপের গায়ে ৬০-৭০ টাকা বিক্রয়মূল্য লিখা থাকলেও কেনা পড়ে মাত্র ১৫-২০ টাকা। অতিরিক্ত মুনফা হাঁকাতে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ওই অসাধু ব্যবসায়ীরা। এর বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষ থেকে কোন প্রকার নজরদারী করা হচ্ছেনা। প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে যৌন উত্তেজক এসব পানিয় পানের ফলে যৌন অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে স্থানীয় চিকিৎসকরা আশংকা প্রকাশ করছেন।